ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫ , ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার দাবিতে ফ্রান্স-মালয়েশিয়ার জোরালো আহ্বান আইন উপদেষ্টার প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল চাঁদপুরে মেঘনা থেকে অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ উদ্ধার হোয়াইট হাউসের সভা থেকে বের করে দেওয়া হলো জাকারবার্গকে দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা মহামারির পর্যায়ে: উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বরখাস্ত হওয়া থাই প্রধানমন্ত্রী পেলেন সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্ব ভারতে অ্যাপলের কারখানা থেকে সরানো হলো ৩ শতাধিক চীনাকে ইউক্রেনের হামলায় রুশ নৌবাহিনীর উপপ্রধান নিহত ব্যাটিংয়ে দুর্দশা নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি বাংকার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে ভারত সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় ৪ দিনের রিমান্ডে পরেশ রাওয়াল ফিরতেই সুনীল শেঠির রসিকতা! ঋতুপর্ণাদের সামনে বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেতানিয়াহু প্রশাসনের বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ‘থাড’ স্থাপন হলো সৌদিতে থানায় হামলা চালিয়ে ২ সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিনতাই, ওসিসহ আহত ২০ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে একটি শব্দও খরচ করতে ইচ্ছুক না: উমামা ফাতেমা বিয়ে সেরেছিলেন মাসখানেক আগে, গাড়ি দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু লিভারপুল তারকা দিয়োগো জোতা'র সংবিধানের নামে দেশে যেটি আছে সেটি আওয়ামী বিধান: হাসনাত তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলকে ট্যাগ করে যা বললেন সারজিস

গাজায় মানুষ মরেছে ‘হিসাবের চেয়ে’ ২৬ হাজার বেশি: ল্যানসেট গবেষণা

  • আপলোড সময় : ১১-০১-২০২৫ ০১:০৬:২১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০১-২০২৫ ০১:০৬:২১ অপরাহ্ন
গাজায় মানুষ মরেছে ‘হিসাবের চেয়ে’ ২৬ হাজার বেশি: ল্যানসেট গবেষণা
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত গাজায় ৬৪ হাজার ২৬০ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছেন গবেষকরা।গাজায় মানুষ মরেছে ‘হিসাবের চেয়ে’ ২৬ হাজার বেশি: ল্যানসেট গবেষণাগাজায় ইসরায়েলের হামলায় মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা ফিলিস্তিনের স্থানীয় প্রশাসনের নথিভুক্ত সংখ্যার চেয়ে অন্তত ২৬ হাজার বেশি বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।ল্যানসেট সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে সিএনএন লিখেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় প্রায় ৬৪ হাজার ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে ‘আঘাতজনিত’ কারণে।অন্যদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ওই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৭ হাজার ৮৭৭ জনের, যা গবেষণায় উঠে আসা সংখ্যার চেয়ে প্রায় ৪১ শতাংশ কম।
গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাজ্যের ‘লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের’ (এলএসএইচটিএম) কয়েকজন গবেষক।তারা বলছেন, ২০২৪ সালের অক্টোবর নাগাদ মৃত্যুর সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

যুদ্ধের মধ্যে গাজায় চিকিৎসা, খাবার পানি ও খাদ্যের অভাব এবং ছড়িয়ে পড়া নানা অসুখেও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এসব মৃত্যুর হিসাব এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।গবেষকরা বলছেন, গাজা উপত্যকার প্রায় ৩ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে সহিংসতায়। এদের মধ্যে ৫৯ শতাংশই নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি।এলএসএইচটিএম মনে করে, হতাহতের সংখ্যার এই তারতম্যের বিষয়টি মূলত গাজার স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো ভেঙে পড়ার কারণেই ঘটেছে। স্বাস্থ্য অবকাঠামো ভেঙে পড়ার কারণে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ হতাহতের হিসাব ঠিকঠাক রাখতে পারছে না।গবেষকরা বলছেন, হতাহতের সংখ্যা বের করতে তারা প্রথমে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা হাসপাতালগুলোর মর্গের তথ্য, অনলাইন জরিপ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা সহিংসতার তথ্য সমন্বয় করেছেন।

এরপর ‘ক্যাপচার-রিক্যাপচার অ্যানালাইসিস’ পদ্ধতিতে হতাহতের সংখ্যা বের করেছেন তারা। যখন ঘটনাসংশ্লিষ্ট সব নথি পাওয়া যায় না, তখন সাধারণত এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন গবেষকরা।এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন জেইনা জামালউদ্দিন। তিনি বলেন, “গবেষণা প্রতিবেদন এটাই বলছে যে গাজায় বেসামরিক মানুষের মৃত্যু বন্ধে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”গত মাসে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) পক্ষ থেকে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনিদের খাবার পানি থেকে বঞ্চিত করছে। এতে করে সেখানে বিভিন্ন রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে এবং হাজারো মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। .এইচআরডব্লিউ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বিশুদ্ধ পানির অভাবে সেখানে মানুষের মৃত্যুর প্রকৃত হিসাব কখনোই হয়ত জানা সম্ভব হবে না। কারণ এই হিসাব বের করার মত অবকাঠামো গাজায় অবশিষ্ট নেই।এরই মধ্যে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ তুলেছে এইচআরডব্লিউ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও (আইসিজে)।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার দাবিতে ফ্রান্স-মালয়েশিয়ার জোরালো আহ্বান

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার দাবিতে ফ্রান্স-মালয়েশিয়ার জোরালো আহ্বান